স্মৃতিচারণঃ খাদেজা, শাহিদা, শিউলী , শিল্পী ।।


স্মৃতিচারণঃ খাদেজা, শাহিদা, শিউলী , শিল্পী

 চারপ্রতিবন্ধী মেয়ের এক দুখিনি মায়ের কথা

চার চারটি বিকলাঙ্গ সন্তান নিয়ে বিধবা হোস্নেআরার দিন যেন আর কাটে না। তিনি আফসোস করে বলেন, শুনেছি। প্রতিবন্ধী বিকলাঙ্গদের সরকার ঋণ দেয় কিন্তু আমার মেয়েরা। কিছুই পায় নাই। চারটি বিকলাঙ্গ মেয়েকে দেখিয়ে বিধবা হোস্নেআরা কাঁদতে লাগলেন সংসারের অন্যান্য কাজ করে মেয়েদের যত্ন নেয়া তার জন্য খুবই কষ্টকর। দাত মেজে দেয়া থেকে শুরু করে শৌচকার্য পর্যন্ত সকল কাজেই সাহায্য করতে হয়কুমিল্লার দেবিদ্ধারের এলাহাবাদের শ্রীপুর গ্রামে তাদের অবস্থান।
তার স্বামী বেঁচে থাকতে তাকে এতো কষ্ট করতে হতো না। বছর আগে স্বামী হাবীবুর রহমান মারা যায়। তখন থেকেই তার দুর্দিন শুরু হয়। তাদের নিজস্ব জমি নেই। তার কোন ছেলেও নেই। বড় মেয়েটি কোন রকমে হাঁটতে পারে
 দ্বিতীয় মেয়ে খোদেজা আক্তারের বয়স ১৪ বছর। বছর বয়স পর্যন্ত সে স্বাভাবিক জীবন যাপন করেছে। তারপর জ্বরের কারণে পাগুলো ধীরে ধীরে অবশ হয়ে যায় এবং হাঁটার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। ৩য় মেয়ে শাহিদা আক্তার (১২) গর্ভকালীন জটিলতার কারণে পঙ্গু হয়ে যায় ৪র্থ মেয়ে অদক্ষ দাইয়ের মাধমে প্রসব করানোর কারণে পঙ্গুত্ব বরণ করে ৫ম মেয়ে শিল্পীকে ছোট থাকতেই ডাক্তার দেখানো হয়েছিল। কিন্তু কোন কাজ হয়নি। তাকে সবগুলো টিকা দেয়া হলেও পোলিওতে আক্রান্ত হয়। দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়েও চিকিৎসা করিয়েছেন। অন্যান্য মেয়েদেরকেও গ্রাম্য ডাক্তার কবিরাজদের মাধ্যমে চিকিৎসা করিয়েছেন
পঙ্গু পরিবারের সদস্যদের সরকারি সাহায্যের ব্যাপারে দেবিদ্বার উপজেলা সমাজসেবা অফিসার জনাব এস এম মুকিত জানালেন, ব্যাপার এসিডদগ্ধ মহিলা শারিরীক প্রতিবন্ধী পুনর্বাসন কার্যক্রম চলছে। গত জুন মাসে এখাতে লাখ ৯৯ হাজার টাকা বিতরন করা হয়েছে। | মােট ঋণ গ্রহণকারীর সংখ্যা ৫১ জন। প্রথম ধাপে ১০ হাজার টাকা। করে দেয়া হয়। প্রথম মাস পর। থেকে ১০ কিস্তিতে ঋণ। পরিশোধ করে আবারও ঋণ নেয়ার বিধান রয়েছে। বিধান অনুযায়ী সত্যিকারের প্রতিবন্ধীদের ঋণ দেয়া হলে তার সমাজ,   পরিবারের বোঝা না হয়ে আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যমে দারিদ্র দূরীকরণ করতে পারবে
মমিনুল ইসলাম মোল্লা, ( তারিখ-29/07/2004 সাপ্তাহিক আমোদ নিউজ আর্কাইভস থেকে )

Post a Comment

0 Comments