একশো-একশো প্রতিনিধিত্ব ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য
মমিনুল ইসলাম মোলাসরকার মৌলিক গণতন্ত্রী কায়দায় উপজেলা পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা সদস্যদের নির্বাচন করতে চায়। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদ্বয়ের নির্বাচনের ৩ বছর পরও এ পদগুলো শূন্য রয়েছে। স্থানীয় সরকারে কার্যকর সর্বোচ্চ ইউনিট (জেলা অথবা বিভাগ) এবং সর্বনিম্ন ইউনিটদ্বয়ের (ইউনিয়ন ও নগর) অনুপস্থিতিতে মধ্যবর্তী ইউনিট হিসেবে গোটা উপজেলা পদ্ধতিই যেখানে অস্তিত্ব সংকটে নিপতিত সেখানে এসব সদস্য যোগ করে লাভ-ই বা কতটুকু হবে? এ প্রশ্ন সঙ্গত কারণেই এসে পড়ে। সে যাই হোক, এসব শূন্য পদে মৌলিক গণতন্ত্রী কায়দায় দ্রুত নির্বাচনের লক্ষে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা তৈরি করা হয়েছে, যদিও এদেশের মানুষ অতীতে ‘মৌলিক গণতন্ত্র’ প্রত্যাখান করেছিল। বিধিমালা অনুযায়ী নির্বাচন হলে উপজেলা পরিষদগুলিতে মোট ১ হাজার ৪৪৩ জন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য যোগ হবে। তার জন্য প্রতিটি উপজেলাকে ৩টি ওয়ার্ডে বিভক্ত করতে হবে, অর্থাৎ কোনটি ১ নং ওযার্ড, কোনটি ২ নং ওয়ার্ড এবং কোনটি ৩ নং ওয়ার্ড তা নির্ধারণ করতে হবে। তবে সীমানা নির্ধারণ প্রক্রিয়া বিলম্বিত হলে এই কাজটি পিছিয়েও যেতে পারে। বর্তমানে দেশে-বিদেশে নারীর গণতান্ত্রিক ক্ষমতায়নের কথা বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশে পদ্ধতিগতভাবে নারীর গণতান্ত্রিক ক্ষমতায়নের গতি খুবই মন্থর, যদিও ‘চমক আর করুণা’ প্রদর্শনের মাধ্যমে ‘ক্ষমতায়নের’ প্রক্রিয়া চোখে পড়ার মত! নির্বাচন কমিশনের এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ইউনিয়ন ও উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান হিসেবে নারীর প্রতিনিধিত্ব সন্তোষজনক নয়। ইউনিয়নের ক্ষেত্রে ৯৯% পদই পুরুষদের দখলে; এতে ‘সাধারণ সদস্য’ পদে নারীর অংশগ্রহণ প্রায় শূন্যের কোটায়। উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ৫ শতাংশ নারী প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। দেশের মহিলা সংগঠনগুলোর একাংশ ইউনিয়নের মত উপজেলা পরিষদের ‘সংরক্ষিত সদস্য’ পদের সরাসরি নির্বাচন চায়। তাদের মতে যদি সরাসরি নির্বাচন দেয়া হয় তাহলে মহিলারা সরাসরি ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করবে এত নারী প্রার্থীদের পাশাপাশি নারী ভোটাররাও বেশী বেশী অণুপ্রাণিত হবে। এত নারী প্রতিনিধিত্বের পাশপাশি নির্বাচনে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়বে। এ ব্যাপারে ২৯ মার্চ ২০১২ প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিব উদ্দীন বলেন, উপজেলা পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য আসনগুলোতে সরাসরি নির্বাচনের কথা ভাবছে নির্বাচন কমিশন। তিনি আরো বলেন, আইন ও বিধি না থাকায় এ পদগুলোতে সরাসরি নির্বাচন করা সম্ভব হয় না, এতে কিছু সমস্যা সৃষ্টি হয়, এটি বিবেচনায় নিয়েই কমিশন কাজ করছে। সংরক্ষিত আসন বাদেও স্থানীয় সরকারের অধীনে থাকা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে মহিলারা সরাসরি নির্বাচনে অংশ নিতে পারে। কিন্তু অনুক‚ল পরিবেশ না থাকায় স্থানীয় নির্বাচনে নারী প্রতিনিধিত্ব বাড়ছে না। স্থানীয় নির্বাচনে নারীর প্রতিদ্বন্ধিতা প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার মোঃ শাহনেওয়াজ বলেন, স্থানীয় নির্বাচনে নারীর অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। উলেখ করার মতো নারীর প্রতিনিধিত্ব বাড়ছে না। এক্ষেত্রে পরিবার থেকে নারীকে নির্বাচনে অংশগ্রহণে উৎসাহ দিতে হবে। কিছু নারী সংগঠন ও নির্বাচন কমিশনের এসব বক্তব্য অবমাননাকর ‘সংরক্ষিত আসন’ সরাসরি ভোটের মাধ্যমে বজায় রাখার পক্ষে ‘ওকালতি’ ছাড়া আর কিছু নয়। ইউনিয়ন পরিষদে ‘সংরক্ষিত আসন’ বজায় রেখে সরাসরি ভোটে নির্বাচন হলেও এসব সদস্যের কোনও মর্যাদা ও গুরুত্ব একটুও বাড়ে নাই, বরং বিড়ম্বনা বেড়েছে অনেক অনেক। তার বিপরীতে উপজেলায় ‘একশো-একশো প্রতিনিধিত্ব’ পদ্ধতিতে একজন নারী ও একজন পুরুষ ভাইস চেয়ারপার্সন নির্বাচনের উত্তম নজির রয়েছে; উপজেলা পদ্ধতি সংকটে থাকায় এর উপকারীতা বুঝা যাচ্ছে না। এই পদ্ধতিতেই স¤প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন নারী উপ উপাচার্য ও একজন পুরুষ উপ উপাচার্য নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এই নতুন পদ্ধতিটিই কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় সরকারে পুরাপুরিভাবে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতে হবে। এটি করলে বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে প্রথম ও একটি মডেল কান্ট্রি হতে পারবে বলে প্রতীয়মান হয়। আশা করি সরকার এই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনায় নেবে।
২৯ নভেম্বর ২০১১ জাতীয় সংসদে উপজেলা পরিষদ আইন (সংশোধন) পাস হয়। এ আইনের ফলে সংরক্ষিত মহিলা সদস্যদের নির্বাচনের পথ উন্মুক্ত হয়। এই আইনের ধারা ৬৩ এর উপধারা ৩ এ (পতাকা-ক) অনুসারে নির্বাচন সংক্রান্ত বিধি প্রণয়ণের ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনকে দেয়া হয়েছে। ফলে দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা উপজেলা পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের (শূন্য) নারী আসনের নির্বাচন অনুষ্ঠানে আর কোন বাধা থাকলো না। প্রতিটি উপজেলা পরিষদে ৩ জন সংরক্ষিত নারী সদস্যের আসন ব্যবস্থা রয়েছে। তবে তারা জনগণের সরাসরি ভোটের পরিবর্তে মৌলিক গণতন্ত্রী কায়দায় নির্বাচিত হবেন। আইন অনুযায়ী উপজেলার অধীনে থাকা পৌরসভা ও ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা আসনের কাউন্সিলর ও সদস্যদের মধ্য থেকে ৩ জন সদস্য নির্বাচিত হবেন। এতে ভোট দিবেন সংশ্লিষ্ট উপজেলার ইউনিয়ন ও পৌরসভার সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার ও কাউন্সিলরগণ। নিয়ম অনুযায়ী উপজেলা পরিষদের মেয়াদকাল প্রথম মিটিং এর দিন থেকে ৫ বছর। এখন প্রশ্ন হচ্ছে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন হয়েছে ৩ বছর আগে। এখন যদি মহিলা সদস্য নির্বাচন করা হয় তাদের মেয়াদ কবে শেষ হবে ? এসব অসঙ্গতি ও সীমাবদ্ধতার কথা কি ভাবা হয়েছে? না কি অল্প সময়ের মধ্যেই আবার আইন সংশোধনের জন্য দৌড়াদৌড়ি করতে হবে?দেশের ৪,৩৮০টি ইউনিয়ন পরিষদের চেযারম্যান পদে নারীদের প্রতিনিধিত্ব উৎসাহব্যাঞ্জক নয়। মাত্র ২২ টি ইউনিয়ন পরিষদে নারীরা প্রতিনিধিত্ব করছেন। এর মধ্যে ফরিদপুরে রয়েছেন ৩ জন মহিলা চেয়ারম্যান। এছাড়া খুলনা, গাইবান্ধা ও পাবনায় ২ জন করে চেয়ারম্যান এলাকাবাসীর সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন। গত নির্বাচনে সাধারণ সদস্য পদে ২৫ হাজার ২৮৩ জন এর মধ্যে নারী প্রার্থী ছিলেন ২২৫ জন। সারাদেশের উপর পরিচালিত জরিপে দেখা যায়, ৪৮০ টি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে ৩,৭০৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করেছিলেন। এর মধ্যে পুরুষ প্রতিদ্বন্ধির সংখ্যা ৩ হাজার ৭০৩ জন। বাকী ১৬৭ আসনে নারীরা পুরুষদের সাথে প্রতিদ্বন্ধিতা করেছিল। ২০১১ সালের ১৩ জুলাই উপজেলা পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা আসনে নির্বাচনের জন্য ইসিকে তাগিদ দিয়ে চিঠি দেয় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। কিন্তু আইনী জটিলতার কারণে নির্বাচন করা সম্ভব হয় নি। সর্বশেষ ২০১২ সালের মার্চ মাসে দ্বিতীয় দফা ইসিকে চিঠি দেয়া হলে নির্বাচন কমিশন বিধিমালা প্রণয়নে তোড়জোড় শুরু করে। তবে বিধিমালাটি আইন মন্ত্রণালয়ের যাচাই-বাছাই শেষে কার্যকর করা যাবে। অতঃপর নির্বাচনের দিন নির্দিষ্ট করে নির্বাচন করা যাবে। ১৮ বছর পর ২০০৯ সালের ২২ জানুয়ারি দেশে ৩য় উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। দেশের ৪৮৭ টি উপজেলার মধ্যে ৪৮০ টিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচিত চেয়ারম্যানদের মধ্যে মহিলার সংখ্যা মাত্র ১ শতাংশ। ৩টি উপজেলায় বর্তমানে নির্বাচিত চেয়ারম্যান রয়েছেন। এগুলো হচ্ছে সিরাজগঞ্জ, নোয়াখালী, ও লক্ষীপুর জেলায়। জেলাভিত্তিক হিসেব অনুযায়ী দেশের কয়েকটি জেলায় নির্বাচনে নারীদের অংশগ্রহণ উলেখযোগ্য। এগুলোর মধ্যে পটুয়াখালী, বরগুনা, ও ভোলা অন্যতম। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোলায় ২৬ জন, পটুয়াখালীতে ২৫ জন এবং বরগুনায় ২৩ জন নারী প্রতিদ্বন্ধিতা করেছিল। প্রয়োজনীয ক্ষমতা ও দায়িত্ব সহ পর্যাপ্ত আর্থিক বরাদ্দের ব্যবস্থা না করে মহিলা প্রতিনিধি নির্বাচনের ব্যবস্থা করলে কোন লাভ হবেনা। বর্তমানে প্রতিটি উপজেলায় ১জন করে নির্বাচিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রয়েছেন। এমনই একজন দিনাজপুর সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন আরা জোৎ¯œা। তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব, প্রকল্প ফান্ড না থাকার কারণে উপজেলা পরিষদে নারী প্রতিনিধিদের ক্ষমতায়ন হচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের সময় জনগণকে অনেক প্রতিশ্র“তি দিয়েছিলাম, কিন্তু বাস্তবে কোন প্রতিশ্র“তিই রক্ষা করতে পারিনি। কারণ পদে আছি ক্ষমতায় নেই। নির্বাচিত প্রতিনিধি হলেও আমার জন্য আলাদা কোন ফান্ড নেই। ফান্ড না থাকলে জনগণের জন্য কাজ করব কিভাবে? পরিষদের ফান্ড থাকলেও মূল ক্ষমতা নির্বাহী অফিসারের । তিনিই সরকারি নিয়ম মেনে তা পরিচালনা করেন।” এতে বুঝা যায় মধ্যবর্তী ইউনিট হিসেবে উপজেলার প্রয়োজনীয়তা ও কাঠামোগত দূর্বলতা নিয়ে বিশেষভাবে ভাবতে হবে; আর এটি ঠিক করতে হলে স্থানীয় সরকার গবেষক আবু তালেব প্রণীত ‘স্থানীয় সরকারের স্তরবিন্যাসকরণ’ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে। দুঃখজনক হলেও সত্যি গত ৪১ বছরে সরকারের একটি সমন্বিত স্তরবিন্যাস গ্রহণ ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া শুরু করা সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে আর কোনও বিলম্ব না করাই সমীচীন হবে।
স্থানীয় সরকারে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হলে সমমর্যাদায় নর-নারীর গণতান্ত্রিক ক্ষমতায়নের কোন বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে ‘মিলেনিয়াম প্রপোজাল পার্ট ওয়ান (এমপো)’ তথা ‘একশো-একশো প্রতিনিধিত্ব’ পদ্ধতি অনুযায়ী বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে প্রণীত ১১ দফা সুপারিশ বাস্তবায়ন খুবই জরুরী। এই পদ্ধতিতে অর্থাৎ ৭নং দফা অনুযায়ী উপজেলা পরিষদে নির্বাচিত একজন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এবং একজন পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান এর ক্ষমতা ও দায়িত্ব সুনির্দিষ্ট করতে হবে। উপযুক্ত সম্মানী ও অন্যান্য সুবিধাদিসহ এদের পদকে পূর্ণকালীন করতে হবে। এর ৮ নং দফায় বলা হয়েছে জনসংখ্যানুপাতে প্রতিটি উপজেলা পরিষদের সদস্য সংখ্যা নির্ধারণ করে তাদেরকে সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হতে হবে; প্রতিটি নির্বাচনী এলাকা থেকে একজন মহিলা সদস্য ও একজন পুরুষ সদস্য নির্বাচিত করতে হবে; উপযুক্ত সম্মানী ও অন্যান্য সুবিধাদি দিয়ে সদস্যগণকে খন্ডকালীন করতে হবে। এছাড়া ৩নং দফা অনুযায়ী ইউনিয়নের প্রতি ওয়ার্ড থেকে একজন মহিলা কাউন্সিলর এবং একজন পুরুষ কাইন্সিলর নির্বাচিত করতে হবে। ৪নং দফা অনুযায়ী ইউনিয়নে একজন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এবং একজন পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত করতে হবে। পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশনের ক্ষেত্রে ৫নং দফায় প্রস্তাব করা হয়েছে, প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে একজন মহিলা ও একজন পুরুষ কাউন্সিলর নির্বাচিত করতে হবে। ৬নং দফা অনুযায়ী উপজেলার পরিষদের মতই একজন মহিলা ডেপুটি মেয়র ও একজন পুরুষ ডেপুটি মেয়র নির্বাচিত করতে হবে। ৯নং দফা মতে জেলা এবং বিভাগে একজন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও একজন পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া ১১তম দফায় বলা হয়েছে, এমপোর আলোকে অন্যান্য ক্ষেত্রেও ১০০-১০০ প্রতিনিধিত্বে নারী-পুরুষের ক্ষমতায়ন সুনিশ্চিত করতে হবে। স¤প্রতি সরকার এই ১১তম দফার আলোকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন নারী উপ উপাচার্য ও একজন পুরুষ উপ উপাচার্য নিয়োগ দিয়েছেন। এই দফার ব্যাপক প্রয়োগ সরকারের অন্যান্য ক্ষেত্রে সিডিএলজির সহযোগীতায় কার্যকরভাবে করা যেতে পারে; তাতে ‘দয়া ও করুণা’র পরিবর্তে নারীর পদ্ধতিগত ক্ষমতায়নের বিষয়টি প্রতিষ্ঠিত হবে বলে আমরা মনে করি।
বাংলাদেশের অধিকাংশ লোক গ্রামে বসবাস করে। তাই এদেশকে বলা হয় গ্রামবহুল দেশ। দেশে প্রায় ৪ হাজার ৫শ ৩টি ইউনিয়ন রয়েছে। এই ইউনিয়নগুলো গ্রামের সমন্বয়ে গঠিত। তাই গ্রামের রাজনীতি জাতীয় রাজনীতিতে বিশেষভাবে প্রভাব বিস্তার করে। স্থানীয় সরকারের এই স্তর ও অন্যান্য স্তরে মহিলাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিতার্থে একশো-একশো পদ্ধতি বাস্তবায়ন ও একটি সমন্বিত গণতান্ত্রিক স্থানীয় সরকার স্থাপন করার লক্ষে ‘গণতান্ত্রিক স্থানীয় সরকারের রূপরেখা’ ও ‘এমপো’ বাস্তবায়নের অন্য কোনও বিকল্প নেই; আশা করি সরকার সে দিকেই নজর দেবে।
লেখক: রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রভাষক, সাংবাদিক ও গণতান্ত্রিক স্থানীয় সরকারের জন্য ক্যাম্পেনার, কুমিলা।
0 Comments